আজ ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ রোগে রোগান্বিত।

মোহাম্মদ আলবিন,স্টাফরির্পোটার,চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার স্ব্যস্হ্য কমপ্লেক্সে ১০ রোগে রোগান্বিত।(০১)স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুড়ে বিদ্যুৎতের খুঁটি এবং লাইটিং ব্যবস্থা থাকলে ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় রাত হলে অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায় মনে হয় যেন কবরস্থান এরিয়া।(০২)স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশেপাশের এরিয়া আগাছা আবর্জনায় ভরা।(০৩)কোটি কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ আসলেও দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন নেই।(০৪)সরকারি নিয়ম মোতাবেক ৯টা
থেকে রোগী দেখার নিয়ম থাকলেও আউটডোরে রোগীদের অপেক্ষা করতে হয় সকাল থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত,তাও আবার ডাক্তার চলে যায় ১২টার সময়।(০৫)ভর্তিকৃত রোগীদের খাবারের মান নিয়ে রয়েছে নয় ছয়।সরকারি নিয়ম মোতাবেক দেওয়া হয় না রোগীদের খাবার,ভর্তিকৃত রোগীরা জানান,একটি মুরগী স্বাভাবিকভাবে ৭পিছ করার নিয়ম
থাকলে ও কিন্তু করা হয় ১৫ পিছের অধিক।রুই মাছের বিল নিয়ে রোগীদের খাওয়ানো হয় পাঙ্গাস মাছ।(০৬)স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক রোগী ছাড়াও চালু আছে প্রসুতি সেবা কিন্তু সেবা পেতে দুর্ভোগের আরেক নাম লোডশেডিং। (০৭)বর্তমান সরকার গ্রামেগন্জে রোগীদের সেবা দিতে এবং রোগীদের সাথে ভালো আচরন করার কঠোর নির্দেশনা থাকলে ও উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাঃরিদুয়ান আজাদসহ কিছু কিছু ডাক্তার ও নার্স এবং কর্মচারীরা রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে রোগীদের।এমনকি ডাঃ রিদুয়ান আজাদ স্হানীয় হওয়ায় নিজেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার আন্তীয় পরিচয় দেয়।(০৮)প্রতিদিন জরুরী বিভাগে শত শত রোগী আসলে ও রোগীদের জন্য নিচে নেই কোন বাথরুম।(০৯)তাছাড়া সারা আনোয়ারায় গভীর টিউবওয়েল ধনীদের ঘরে ঘরে বসানো হলে ও সাধারণ রোগী ও ভর্তি রোগীদের জন্য নেই কোন টিউবওয়েল। তাছাড়া রোগী সেবার কথা চিন্তা করে প্রায় সাত লক্ষ টাকা খরচ করে বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী(জাবেদ)এর পরিবার হতে মানবিক চিন্তা করে ভর্তি রোগীদের জন্য পানির ফিল্টার বসিয়ে নিরাপদ পানির সু-ব্যবস্হা করলেও সেটি নষ্ট হয়ে আছে গত এক বছর ধরে যা মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেই।(১০)সরকারি ওষুধ নিয়ে রয়েছে রোগীদের নানা অভিযোগ। রোগীদের স্বল্প মুল্যের ওষুধ দিয়ে নামীদামী ওষুধ গুলো বাহিরে বিক্রয় করার অভিযোগ করেন রোগীরা।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তীয় স্বজনদের জন্য নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে।
উল্লেখিত ১০টি রোগের সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন আনোয়ারা রোগীকল্যান সমিতি।এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, বিষয়গুলোর ব্যাপারে অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে তদারকি করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর